পরিবেশ বাঁচান
অ্যাডভোকেট আলেয়া রাহাত*
লিখতে বসেছি কবিতা আমি হবে কিনা জানিনা
হোক বা না হোক আমি তা নিয়ে ভাবিনা।
শুধু ভাবি পরিবেশ বিপর্যয় ঠেকানো একান্ত প্রয়োজন
এই কথাটি সকলকে করিয়ে দিতে চাই স্মরণ।
পরিবেশ বাঁচাতে পারিনা আমি তবুও করছি চেষ্টা
লিখতে পারিনা কবিতা আমি তবুও দেখব শেষটা।
রূপ দিতে পারিনা আমি কবিতার ছন্দে
তাই নিয়ে আছি আমি মহা দ্বিধা দ্বন্দ্বে।
ঠেকাতে হলে পরিবেশ বিপর্যয়,
বেশি করে গাছ লাগাতে হয়।
গাছের মধ্যে সেরা গাছ পামঅয়েল
পরিবেশের জন্য এই গাছ জুয়েল।
অক্সিজেন দিবে অন্য গাছের চেয়ে দশগুণ
আর কার্বন-ডাইঅক্সাইড করবে শোষণ।
মাটির ক্ষয়, ঝড় বন্যা আর জলোচ্ছ্বাস
সবচেয়ে বেশি ঠেকাতে পারে পামগাছ।
যে কোন জায়গায় ফলাতে পারেন এই গাছ
এ থেকে উপকার পাবেন বারোমাস।
গাছ হল পরিবেশের বন্ধু গাছ অমূল্য
গাছ আমাদের জীবন মরণ প্রকৃতির পুকুর তুল্য।
গাছ হল আল্লাহর দান গাছ ছাড়া সব বেমানান।
খাদ্য বস্ত্র স্বাস্থ্য শিক্ষা থাকার বাসস্থান
গাছবিনা কার সাধ্য করে এর সংস্থান।
অর্থ বিত্ত সবই পাবে এই কথাটি মিথ্যা না
প্রকৃতির ভারসাম্য রক্ষা করতে গাছের তুলনা হয়না।
জীবাশ্ম জ্বালানির পরিবর্তে করলে ব্যবহার বায়োগ্যাস
পরিবেশ বাঁচবে, শ্রম বাঁচবে পাবে শহরের পরিবেশ।
তার ওপর আরও পাবে জমির সার মাছের খাবার
কৃষি প্রধান দেশেতে ভাই পরিবেশবান্ধব চাষাবাদ দরকার।
গোবর দিয়ে ঘুটে বানিয়ে পরিবেশ দূষণ করে
পাবে দূষিত জ্বালানি আর পাবে কিছু ছাই।
এর বেশি পাওয়ার কিন্তু কোন উপায় নাই।
ফসল উৎপাদনে জৈবসারের কোন তুলনা নাই
খরকুটো, আর্বজনা, গোবর্জ্য মানববর্জ্য ও বিষ্ঠাতে তা পাই
রাসায়নিক সার ও কীটনাশক করলে ব্যবহার
উর্বরতা নষ্ট হবে উৎপাদন শীলতার
জৈবসার আর জৈব কীটনাশক জমির হল প্রাণ
কৃষকের জন্য ভাইরে এটা হলো বছরব্যাপী ত্রাণ।
উৎপাদন ব্যয় কম হবে অর্থ হবে সাশ্রয়
জৈবসারে রক্ষা করবে সকল জমির ক্ষয়।
চেষ্টা যদি করে কৃষক ব্যর্থ হবেনা।
এর চেয়ে সহজ উপায় আর তো পাবেনা।
পণ কর আজ সবাই মিলে কৃষক শ্রমিক জেলে
রাখবনা আর কোন জমি অনাবাদি ফেলে।
যে ভাবেই হোক খাদ্যের অভাব করব মোরা দূর
সোনালি ফসলের আগমনে আনব নতুন ভোর।
অভাব অনটন রইবে নাকো থাকবে না কোন ক্লেশ
বিশ্বের মাঝে পরিচিতি পাবে সোনার বাংলাদেশ।
সবুজের সমারোহে মধুর পরিবেশ
সকল দেশের সেরা সে যে আমার বাংলাদেশ।
বাঁচলে পরিবেশ, বাঁচবে আমাদের দেশ
কবিতাখানি আমার এখানেই শেষ।
খাদ্য ও পুষ্টি
কৃষিবিদ ড. মো. শাহ কামাল খান**
বাঁচার জন্য যা খাওয়া হয়
তাই হলো খাদ্য,
আর পুষ্টি হলো তাই
যা কাজে লাগে দেহের জন্য।
অপুষ্টি ও অতিপুষ্টি
দু’টোই দেশে ডজন ডজন
পুষ্টিতে সচেতন হওয়া
সব মানুষের প্রয়োজন।
শর্করা ও চর্বি জাতীয় খাবার
জোগায় দেহের শক্তি,
পরিমিত পরিমাণে খেলে তা
দুর্বলতা হতে পাবে মুক্তি।
আমিষের প্রধান কাজ
শরীর গঠন করা,
মাছ, মাংস, ডিম, ডাল
আছে আমিষে ভরা।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ানো
ভিটামিন-খনিজের দায়িত্ব,
শাকসবজি ফলমূল
খেতে হবে নিয়মিত।
সুষম খাবারের কোন
বিকল্প যে নাই,
সবজি-খিচুড়ি দুধ-ভাত
মাঝে মাঝে খাওয়া চাই।
*জজকোর্ট, খুলনা, মোবাইল : ০১৭১৬১৬৪৭১৮; **সিনিয়র মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন অফিসার, সাইট্রাস ডেভেলপমেন্ট প্রজেক্ট, ডিএই, খামারবাড়ি, ঢাকা, মোবাইল : ০১৭১২১৮৪২৭৪